নেপথ্যে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি
রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় জাগরণী সংসদ ক্লাবের ভেতর গুলি করে মোফাজ্জল হোসেন রাইয়ানকে খুনের নেপথ্যে ছিল চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি। এছাড়া পশুরহাটের বকেয়া টাকা ও ডিস ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণও ছিল এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কারণ।
সোমবার মোফাজ্জলের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে বাড্ডা কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
গত রোববার রাতে বাড্ডা জাগরণী সংসদ ক্লাবের ভেতর এলোপাতারি গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এসময় মোফাজ্জল ও মনু আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মনুকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে তার পরিবার সূত্র জানায়।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বাংলামেইলকে জানান, নিহত মোফাজ্জলের বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। গত ৭/৮ মাস আগে দেলোয়ার নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে দোলোয়ারের স্ত্রী মোফাজ্জলসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় মোফাজ্জল আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন।
ওসি আরো জানান, মোফাজ্জল ওই ক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য। গত বছর আফতাব নগর পশুরহাটে ওই ক্লাবের নামে ইজারা নেয়া হয়। ইজারার এক কোটি টাকাও ক্লাবে জমা রয়েছে। ওই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।
এম এ জলিল জানান, মোফাজ্জলসহ কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে বাড্ডা, গুলশান ও বনানী এলাকায় ডিস ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল। এছাড়াও ওই এলাকায় চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব বিষয়ে নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করেছি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
জানা গেছে, ক্লাবের কাছে দক্ষিণ বাড্ডায় প/১৩ নম্বরে মোফাজ্জলের বাড়ি। তার বাবার নাম আবদুর রহমান। ঘটনার দিন তারা কয়েকজন ক্লাবে বসে তাস খেলছিল। হঠাৎ দুর্বৃত্তরা এসে তাদের ওপর এলোপাতারি গুলি চালায়। সে ঘটনায় মোফাজ্জল নিহত হন।
নেপথ্যে চাঁদার টাকা ভাগাভাগি
Reviewed by sohel
on
09:30
Rating:
