অবশেষে ফাঁস হয়ে গেল হ্যাপির প্রতারনা
মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করেই তো ফেললেন হ্যাপি! পৃথিবীর প্রত্যেক পেশায় সাফল্যের নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি আছে। যারা মিডিয়াতে কাজ করেন, তাদের সবচেয়ে বড় সফলতা হলো মানুষের আলোচনায় থাকতে পারা। সেজন্য তারা নানা ধরণের নোংরা কাজ করতেও খুব একটা দ্বিধা বোধ করেননা।
এই চরম সত্য কথাটি সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছেন হালের আলোচিত নায়িকা হ্যাপি। যিনি রুবেলের সাথে প্রেম-দৈহিক সম্পর্ক-মামলা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে মিডিয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত সকলের আলোচনার খোরাক জুগিয়ে চলেছেন।
ডিসেম্বর মাসে যখন তিনি প্রথম মামলা করলেন রুবেলের বিরুদ্ধে, সেদিনই সম্ভবত অধিকাংশ মানুষ হ্যাপির নাম প্রথম শুনেছিলো। এর আগে হ্যাপি ছিলেন নিতান্তই তৃতীয় শ্রেণীর একজন নায়িকা। রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পরই মিডিয়া জেকে ধরলো হ্যাপিকে। একের পর এক নিউজ হতে লাগলো হ্যাপিকে নিয়ে। সাধারণ মানুষ মজা পেয়ে গেলো। তারাও গিলতে লাগলো সেসব খবর। আর ফেসবুকের নিউজ ফীড উপছে পড়লো হ্যাপিকে নিয়ে দেওয়া পোস্টে। অবস্থা এমন হলো, বাংলাদেশ খেলায় জিতলেও হ্যাপিকে নিয়ে আলোচনা, হারলেও হ্যাপিকে নিয়ে আলোচনা।
রুবেল উইকেট পেলেও আলোচনায় হ্যাপি, আবার ব্যর্থ হলেও আলোচনায় হ্যাপি। এসব আলোচনার জোয়ারে হ্যাপি মিডিয়াতে দাঁড়ানোর মত ভিত্তি পেলেন। হ্যাপির ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হুহু করে বাড়তে লাগলো ফলোয়ারের সংখ্যা। আর হ্যাপিও সেসব ফলোয়ারকে তুষ্ট রাখতে, তাদের আলোচনায় থাকতে একের পর এক বিতর্কিত পোস্ট করে যেতে থাকলেন।
কখনো রুবেলকে তিনি ‘আমার বাবুটা’ লিখে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, আবার কখনো রুবেলকে বলছেন ‘কুত্তার বাচ্চা’। পাবলিক এসব দেখে বেমালুম আনন্দ পাচ্ছে, গণহারে শেয়ার করছে। হ্যাপির ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা এখন এক লক্ষ সতের হাজারেরও বেশি, যেটা বাংলাদেশের অনেক নামী- দামি সেলেবের হিংসার কারণ হতে বাধ্য।
রুবেলের সাথে সেই আলোচিত ঘটনাবলীর পর হ্যাপি নতুন বেশকিছু ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, যেগুলোতে একজন অখ্যাত হ্যাপির পক্ষে অভিনয় করা সম্ভব হত না। হ্যাপির প্রথম ছবি ‘কিছু আশা কিছু ভালোবাসা’, এবং সেই ছবির ট্রাক ড্রাইভার মার্কা নায়ককে দেখলেই বুঝবেন নায়িকা হিসেবে হ্যাপি কোন গ্রেডের ছিলেন।
রুবেলের সাথে হ্যাপির যেসব ঝামেলা ছিলো, সেগুলো থেকে হ্যাপি কতটা লাভবান হয়েছেন সেটা আবার বুঝা গেলো গতকাল। ইউটিউবে আপলোড করা হ্যাপির নতুন একটি মিউজিক ভিডিও মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেখা হয়েছে লক্ষবারেরও বেশি। বাংলাদেশে যেখানে এখনো ইউটিউব ব্যবহার করার মত স্পীডের ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সীমিত, সেখানে ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ইউটিউব ভিউ মাথা নষ্ট করে দেওয়ার মত ব্যাপার।
হ্যাপি সম্ভবত এগুলোই চাইছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে বোকা বানিয়ে তরতর করে কত অল্প দিনে আলোচনার শীর্ষে উঠে গেলেন অত্যন্ত চালাক এবং ধুরন্ধর এই নায়িকা!
অবশেষে ফাঁস হয়ে গেল হ্যাপির প্রতারনা
Reviewed by sohel
on
06:03
Rating:
