আজও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ বিমান বাহিনীর পাইলটের
স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ বিমান বাহিনীর পাইলটের খোঁজ
মেলেনি আজও।সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে।এরই মধ্যে ২৪
ঘণ্টা পার হয়েছে।উদ্ধার অভিযানে সোলার সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে
সমুদ্র তলদেশে কিছু থাকলে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয়।সোমবার সারা রাত সাগরে
তল্লাশি চালানোর পরও নতুন কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ বৈমানিকেরও কোনো সন্ধান মেলেনি। তবে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে
কোনো ধরণের তথ্য পাও্রয়া যাচ্ছে না।কোস্ট গার্ড ও নো-বাহিনীর সূত্রে জানা
যায়,সাগর উত্তাল থাকায় তল্লাশিতে সমস্যা হলেও নৌ বাহিনীর জাহাজ অতন্দ্র,
মধুমতী ও সুরভী, কোস্টগার্ডের জাহাজ তৌফিক ও তিনটি মেটাল শার্ক বোট এবং
বিমান বাহিনীর তিনটি হেলিকপ্টার অভিযান চলছে।রবিবার সকালে জহুরুল হক ঘাঁটি
থেকে উড্ডয়নের পর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে তাহমিদের বিমানের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ
কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এরপর আধা ঘণ্টা পর বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়, পতেঙ্গা সমুদ্র
সৈকত থেকে ছয় মাইল দূরে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।চট্টগ্রাম বন্দরের
বহির্নোঙ্গরে অবস্থানরত এমভি আলেকজান্ডার থেকে দুর্ঘটনার ওই দৃশ্য
প্রত্যক্ষ করেন ওই জাহাজের ওয়াচম্যান মো. বাবুল হাওলাদার।
বাবুল হাওলাদার বলেন,“তখন ১১টা ২০ মিনিট। বিমানটি পানিতে পড়ার পর
দুটি হাত কিছুক্ষণ দেখেছিলাম। পরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড এলে তাদের আমি
জায়গাটি দেখিয়ে দিয়েছি।এরপর বিকালে সৈকত থেকে পাঁচ মাইল পশ্চিমে
বঙ্গোপসাগরের ব্রাভো অ্যাঙ্করেজে বিধ্বস্ত যুদ্ধ বিমানের দুটি অংশ খুঁজে
পান উদ্ধারকর্মীরা।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা দুরুল হুদা জানান, নৌবাহিনীর জাহাজ সুরভীতে থাকা
‘সাইড স্ক্যান সোনার’ ব্যবহার করে তারা বিমানটির বাকি ধ্বংসাবশেষ খোঁজার
চেষ্টা করছেন।
তবে কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য দেয়নি
বিমান বাহিনী।চট্টগ্রাম বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একটি সূত্র জানায়,
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট রুম্মন কোনো
বিপদের সংকেত তাদের দেননি।বিধ্বস্ত হওয়ার আগে তিনি নামার চেষ্টা চালিয়েছেন
কিংবা তাতে সফল হয়েছেন কি না, সে বিষয়েও কিছু জানা যায়নি।
আজও খোঁজ মেলেনি বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ বিমান বাহিনীর পাইলটের
Reviewed by sohel
on
22:33
Rating:
