Top Ad unit 728 × 90

সংবাদ শিরোনাম

recent

বিএনপি নেতা পিন্টু মারা গেছেন



বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য পিলখানা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি...রাজিউন)। বুকে ব্যথা অনুভব করায় রোববার দুপুরে রাজশাহী কারাগার থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারা কর্তৃপক্ষের দাবি, পিন্টু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার চিকিৎসায় কারাকর্তৃপক্ষের বা হাসপাতালের কোন গাফেলতি ছিল না। 
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন জানান, 'কার্ডিয়াক অ্যাটাকে পিন্টুর মৃত্যু হয়েছে।' এদিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজারীবাগের বাসায় নেতা-কর্মীরা ভিড় করেন। সমবেদনা জানাতে ছুটে আসেন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতারা। তারা বলছেন, 'পিন্টুর মৃত্যু দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।' নেতৃবৃন্দ পিন্টুর মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানান। অন্যদিকে পিন্টুর দাফনের বিষয়ে পারিবারিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে স্বজনরা জানান। আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, এ বিষয়ে পুলিশ বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। আর পিন্টুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। গতকাল রাত সোয়া ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার মৃতদেহ স্বজনের অপেক্ষায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মর্গে ছিল। পিন্টুর পরিবারের অভিযোগ, পিন্টুকে কৌশলে হত্যা করা হয়েছে। তবে তা নাকচ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তার চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা ও তার ওপর মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ঠিক নয়। পিন্টু একজন বন্দি ছিলেন। একজন বন্দি হিসাবে যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তাকে তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিমন্ত্রী দাবি করেন, 'তার হার্ট হ্যাটাক হয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।' রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, গত ২০ এপ্রিল পিন্টুকে নারায়নগঞ্জ কারাগার থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়। ২৬ এপ্রিল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। তার হৃদ?রোগ ও চোখে সমস্যা ছিল। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কারা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। একপর্যায়ে রোববার বেলা ১২টার কিছু সময় আগে বুকে ব্যথা অনুভব করেন পিন্টু। তাৎক্ষণিকভাবে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন কারা হাসপাতালের চিকিৎসক এস এম সায়েম। তিনি পিন্টুকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে তাকে কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। তখন তার জ্ঞান ছিল না, তবে নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক পিন্টুকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন জানান, পিন্টুকে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পিন্টুকে মৃত বলে জানান। 
পরস্পরবিরোধী বক্তব্য : কারা ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আমাদের রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেছেন- 'গত ২০ এপ্রিল পিন্টুকে রাজশাহীতে আনা হয়। তখন থেকেই তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। এ জন্য ২৩ এপ্রিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বরাবর একটি চিঠি দেয়া হয় মেডিকেল টিম পাঠানোর জন্য। ২৫ তারিখে টিম আসার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ প্রস্ততি নেয়। কিন্তু টিম পাঠায়নি হাসপাতাল। ফলে বাধ্য হয়ে ২৬ এপ্রিল পিন্টুকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কারা হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল।' কারা কর্তৃপক্ষ মেডিকেল টিম চেয়ে আবেদন করলেও হাসপাতাল থেকে কেন টিম পাঠানো হয় নি এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, 'চিঠি অফিসিয়ালি গ্রহণ করতেও তো সময় লেগেছে। এর মধ্যে কারা কর্তৃপক্ষ তো চিকিৎসা করিয়েছেন। ফলে এ অভিযোগ আবার কেনো তোলা হচ্ছে?' এদিকে হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. রইস উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি মেডিকেল টিম নিয়ে গত ২ মে শনিবার কারাগারে পিন্টুর শারীরিক পরীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে না দেয়ায় তিনি ফিরে আসেন। ডা. রইসের এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র কারা তত্ত্বাবধায়ক শফিকুল ইসলাম খান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ডা. রইস এসেছিলেন। তাই তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। তাছাড়া নাসিরউদ্দিন পিন্টুকে ঢাকা পিজি হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতি ছিলো। তিনি বেঁচে থাকলে আগামী ১১ মে তাকে পিজিতে চিকিৎসার জন্য নেয়া হতো। 
যা বলছে পরিবার : পিন্টুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। পিন্টুর স্ত্রীর বড় ভাই মশিউর রহমান দীপু, বোন ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি এবং পিন্টুর আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন। দিপুর দাবি, 'শনিবার দিনগত রাতে পিন্টু হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাকে কোনো প্রকার চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। মৃত্যুর পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।'
আজিমপুর কবরস্থানে পিন্টুর দাফন: বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মরদেহ আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে। তার মরদেহ আনতে রাজশাহী গেছেন স্বজনেরা। পিন্টুর ছোট ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুরনো ঢাকার হাজারীবাগ থানাধীন মনেশ্বর রোডের পিন্টুর বাসায় গতকাল রোববার বিকেলে তিনি এ তথ্য জানান। পিন্টুর ছোট ভাই রিন্টু বলেন, রোববার দুপুরে তারা টিভির স্ক্রল দেখে পিন্টুর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। এর আগে শনিবার রাতে পিন্টু অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন ডেপুটি জেলার তাকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। তখন কারাগারের চিকিৎসককে দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। সকালে সেলে পিন্টুর শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা আরও বেড়ে গেলে দ্রুত তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে স্থানীয় (আইসিইউ) ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করেন। দুপুর পৌনে ১টার দিকে পিন্টু কোমায় চলে যান। কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু ঘটে।' খবর পেয়ে সাবেক উপমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এবং পিন্টুর স্ত্রীর বড় ভাই রফিকুল ইসলাম দিপু রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান। সেখানে তারা লাশ গ্রহণের অপেক্ষায় আছেন। বিকেলে পিন্টুর লাশের সুরতহাল সম্পন্নের পরই একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয় বলে জানা গেছে। রিন্টু আরও বলেন, তার ভাইয়ের লাশ রাজশাহী থেকে ঢাকা আনতে হেলিকপ্টার চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাতে হেলিকপ্টারে লাশ বহন করতে কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করায় তারা এখন বিকল্প চিন্তা করছেন। ফ্রিজিং অ্যাম্বুলেন্সে লাশ আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিন্টুর বাড়িতে নেতা-কর্মীর ভিড় : এদিকে নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর খবর শোনার পর তার হাজারীবাগের ২৫ মনেশ্বর রোডের বাসায় একে একে আসতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। পরিবারকে সমবেদনা জানাতে ঘটনার পরপরই বাসায় আসেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ সভাপতি রাবেয়া সিরাজ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ, সাবেক সংসদ সদস্য বিলকিস জাহান, বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খানসহ স্থানীয় নেতারা।
এক নজরে পিন্টু : পিন্টু এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু বিডিআর বিদ্রোহের মামলায় দ প্রাপ্ত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়। গত শতকের শেষভাগে হাবিব উন নবী খান সোহেলের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক হন পিন্টু। পরে পান সভাপতির দায়িত্ব। ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীর চর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ওই ৫ বছরে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা ঘটনায় বহুবার পত্রিকার শিরোনাম হন পিন্টু। এরকম একটি ঘটনায় সন্ত্রাস ও টেন্ডারবাজির মামলায় নিজের দল সরকারে থাকা অবস্থায় কারাগারে যেতে হয় পিন্টুকে। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর বহুল আলোচিত পিলখানা হত্যা মামলার রায়ে পিন্টুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। ২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদরদফতরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ অন্তত ৭৪ জন নিহত হন। হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্র এবং আসামিদের পালাতে সহযোগিতার অভিযোগ ছিল পিন্টুর বিরুদ্ধে। পিলখানা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে নাম আসার পর ওই বছর জুন মাসে হাই কোর্টের বাইরে থেকে এই সাবেক সাংসদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন। এর আগে জরুরি অবস্থার সময় গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৮ সালে কারাগারে একজন ডেপুটি জেলারকে পিটিয়ে আহত করেন এই বিএনপি নেতা। ত্রাণের টিন আত্মসাতের একটি মামলার শুনানি চলাকালে গতবছর ঢাকার আদালতে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে 'মালাউন' গালি দিয়ে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন তিনি। এদিকে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী পিন্টুর জন্ম ১৯৬৭ সালে। পুরান ঢাকার মরহুম নিজাম উদ্দিন আহম্মেদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে পিন্টু ছিলেন সবার বড়। পিন্টুর স্ত্রীর নাম নাসিমা আক্তার কল্পনা। তাদের বড় ছেলে শাহরিয়া আহম্মেদ রাতুল কানাডার টরেন্টোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। আর ছোট ছেলে নাহান আহম্মেদ ঢাকার স্কলাস্টিকার ছাত্র।
পিন্টুর মৃত্যুতে লেবার পার্টির শোক : সাবেক ছাত্রদল সভাপতি ও বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. ফারুক রহমান ও প্রচার সম্পাদক আবদুর রহমান খোকন এ শোকবাণী জানান।
খেলাফত মজলিসের শোক : বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। সংগঠনটির আমির প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবীবুর রহমান ও মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এ শোক প্রকাশ করেন। শোক বাণীতে তারা বলেন, নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুতে দেশ একজন রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবককে হারালো, যা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। শোকবাণীতে নেতারা মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বিএনপি নেতা পিন্টু মারা গেছেন Reviewed by sohel on 11:07 Rating: 5
প্রকাশক ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ সোহেল রানা শাখারিয়া (কদিম পাড়া বাজার) বগুড়া । ফোন: +৬০১৭৮৪৭১১৬১ ইমেইল: bogracity7274@gmail.com : নিউজ 24 বগুড়া সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © 2014 - 2019
,

নিউজ ২৪ বগুড়া

Name

Email *

Message *

Powered by Blogger.