জন্মদিনেই নায়িকা হিসেবে জন্ম নাবিলার
২০০৬ সালে বাংলাভিশনের 'এবং ক্লাসের বাইরে' নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তারপর আর থেমে থাকেন নি। একটানা নয়বছর উপস্থাপনায় নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। কেননা উপস্থাপনাকেই মনে-প্রাণে ভালোবাসতেন। নায়িকা হওয়ার বাসনা ছিলো না কখনোই। হঠাৎ অমিতাভ রেজাই বদলে দিলেন নাবিলার জগত...
নন্দিত নির্মাতা অমিতাভ রেজার সিনেমায় অভিষেক হচ্ছে। প্রতিক্রিয়া কি?
খুবই নার্ভাস এবং এক্সাইটেড। কারন আমি একজন নন এক্টর। অভিনয়ে সেরকম কোন ব্যাকগ্রাউন্ড নাই। নিজেকে খুব লাকি মনে করছি এ কারণে যে, আমি অমিতাভ রেজার মতো একজন ডিরেক্টরের সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি। আমি তো একেবারেই জিরো। আর অমিতাভ রেজা একেবারে আউট অব হান্ড্রেড। আমি ওনাকে বিশ্বাস করতে পারি বলেই এ সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। আমি আসলে কিছুই না। আমার ভেতরে যদি কিছু থেকে থাকে তবে তা বের করে আনার দায়িত্ব অমিতাভ রেজার।
এই সিলেকশনের ব্যাপারটা কিভাবে শুরু হয়?
আমার কাছে প্রথম ফোন এসেছিলো ফেব্রুয়ারী মাসে। আমি শিওর ওনাদের হাতে আরো তিন চারটা অপশন ছিলো। আমার বেলায় যেটা হয়েছে তা হলো আমি আরো আগে তিন চারটা সিনেমার অফার পেয়েছি। কিন্তু সেসব ফোনেই না করে দিয়েছি। কেননা সিনেমাকে আমি অনেক বিশাল ব্যপার মনে করি। আমার আসলে নিজের উপর ওই কনফিডেন্স টা ছিলো না। কিন্তু যখন অমিতাভ রেজার পক্ষ থেকে আমার কাছে ফোন আসে আমার কাছে মনে হয়েছে, কিছু হোক না হোক আমার অন্তত যাওয়া উচিত। গেলাম, শুনলাম, বুঝলাম। তখন আসলে সবকিছু প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলো। আমিও জানতাম না যে তখন হবে। একমাস থেকে তারা কন্টিনিউয়াসলি আমার সাথে বসছে। এবং ফাইনালি আমাকেই সিলেক্ট করা হলো।
আমার কাছে প্রথম ফোন এসেছিলো ফেব্রুয়ারী মাসে। আমি শিওর ওনাদের হাতে আরো তিন চারটা অপশন ছিলো। আমার বেলায় যেটা হয়েছে তা হলো আমি আরো আগে তিন চারটা সিনেমার অফার পেয়েছি। কিন্তু সেসব ফোনেই না করে দিয়েছি। কেননা সিনেমাকে আমি অনেক বিশাল ব্যপার মনে করি। আমার আসলে নিজের উপর ওই কনফিডেন্স টা ছিলো না। কিন্তু যখন অমিতাভ রেজার পক্ষ থেকে আমার কাছে ফোন আসে আমার কাছে মনে হয়েছে, কিছু হোক না হোক আমার অন্তত যাওয়া উচিত। গেলাম, শুনলাম, বুঝলাম। তখন আসলে সবকিছু প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলো। আমিও জানতাম না যে তখন হবে। একমাস থেকে তারা কন্টিনিউয়াসলি আমার সাথে বসছে। এবং ফাইনালি আমাকেই সিলেক্ট করা হলো।
কবে জানলেন যে আপনাকে সিলেক্ট করা হয়েছে?
কবে জানলাম সেটাও আসলে খুব ইন্টারেস্টিং গল্প। আমি তখন কাতারে একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপনার জন্য গিয়েছিলাম। আমার জন্মদিন ছিলো আট এপ্রিল। তো সেদিন আমাকে অমিতাভ ভাই ম্যাসেজ করে- ‘শুভ জন্মদিন, তুমি তো অনেক দূরে, তোমাকে সেভাবে খুব একটা কিছু গিফট দিতে পারছি না, তোমাকে একটা গিফট দিতে চাইবো, যদি তুমি নিতে রাজী হও।’ আমি বললাম যে, বলেন কি দিতে চান? অমিতাভ ভাই বললেন, আমি তোমাকে আমার সিনেমায় হৃদি (নায়িকা চরিত্র) হিসেবে চাই। আমার মনে হয় সেটা আমার জীবনের সেরা উপহার ছিলো।’
কবে জানলাম সেটাও আসলে খুব ইন্টারেস্টিং গল্প। আমি তখন কাতারে একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপনার জন্য গিয়েছিলাম। আমার জন্মদিন ছিলো আট এপ্রিল। তো সেদিন আমাকে অমিতাভ ভাই ম্যাসেজ করে- ‘শুভ জন্মদিন, তুমি তো অনেক দূরে, তোমাকে সেভাবে খুব একটা কিছু গিফট দিতে পারছি না, তোমাকে একটা গিফট দিতে চাইবো, যদি তুমি নিতে রাজী হও।’ আমি বললাম যে, বলেন কি দিতে চান? অমিতাভ ভাই বললেন, আমি তোমাকে আমার সিনেমায় হৃদি (নায়িকা চরিত্র) হিসেবে চাই। আমার মনে হয় সেটা আমার জীবনের সেরা উপহার ছিলো।’
কি ধরনের গ্রুমিং চলছে এখন?
আমার একটা টেস্ট শুট হয়েছিলো এপ্রিল মাসে। আমার ভেতর থেকে কি কি বের করে আনা সম্ভব তা পরখ করে দেখা হয়েছে। এখন কস্টিউমসহ আনুসাঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। ২২তারিখ থেকে আমাদের একটা ওয়ার্কশপ হবে। অমিতাভ ভাই আমাকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিনেমা দিয়েছে দেখার জন্য। বই দিয়ে পড়ার জন্য। আমরা আসলে বেশকিছুদিন ধরে একসাথেই আছি। নিয়মিত মিটিং চলছে শুটিংয়ের নানা দিক নিয়ে।
আমার একটা টেস্ট শুট হয়েছিলো এপ্রিল মাসে। আমার ভেতর থেকে কি কি বের করে আনা সম্ভব তা পরখ করে দেখা হয়েছে। এখন কস্টিউমসহ আনুসাঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা চলছে। ২২তারিখ থেকে আমাদের একটা ওয়ার্কশপ হবে। অমিতাভ ভাই আমাকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিনেমা দিয়েছে দেখার জন্য। বই দিয়ে পড়ার জন্য। আমরা আসলে বেশকিছুদিন ধরে একসাথেই আছি। নিয়মিত মিটিং চলছে শুটিংয়ের নানা দিক নিয়ে।
এরকম কোন বিধি নিষেধ আছে যে, আপাতত আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না?
না, একদম না। একটা মাস আমি শুটিংয়ের জন্য সময় দিচ্ছি। এই সময়টায় হয়তো অন্য কিছুতে খুব একটা সময় দিতে পারছি না। কিন্তু শুটিং শেষ হলেই আবার আমি আমার কাজে নিয়মিত হবো।
না, একদম না। একটা মাস আমি শুটিংয়ের জন্য সময় দিচ্ছি। এই সময়টায় হয়তো অন্য কিছুতে খুব একটা সময় দিতে পারছি না। কিন্তু শুটিং শেষ হলেই আবার আমি আমার কাজে নিয়মিত হবো।
উপস্থাপনা চলবে?
উপস্থাপনা সারাজীবন চলবে। আমার প্রথম পরিচয় এবং শেষ পরিচয় হচ্ছে- উপস্থাপক।
উপস্থাপনা সারাজীবন চলবে। আমার প্রথম পরিচয় এবং শেষ পরিচয় হচ্ছে- উপস্থাপক।
কেন? আপনিতো নায়িকা হচ্ছেন…
আমি কখনো দাবি করবো না আমি এরপরও সিনেমা করবো। অমিতাভ ভাই বলে যে -‘তুমি এরপরও তুমি সিনেমা করবে।’ কিন্তু আমি জানি। এ সিনেমাতে হয়তো চরিত্রটা আমার অনুকূলে আছে, অর্থাৎ সবকিছু আমার মতো বলেই আমি করছি। অন্যান্য সব সিনেমার মতো নয়। সবচেয়ে বড় কারন অমিতাভ রেজা। এরপর যদি এমন কিছু পাই তাহলেই হয়তো আবার সিনেমা করবো। নইলে না। উপস্থাপনা আমার একদম ভালোবাসার জায়গা। এটা ছাড়ছি না।
আমি কখনো দাবি করবো না আমি এরপরও সিনেমা করবো। অমিতাভ ভাই বলে যে -‘তুমি এরপরও তুমি সিনেমা করবে।’ কিন্তু আমি জানি। এ সিনেমাতে হয়তো চরিত্রটা আমার অনুকূলে আছে, অর্থাৎ সবকিছু আমার মতো বলেই আমি করছি। অন্যান্য সব সিনেমার মতো নয়। সবচেয়ে বড় কারন অমিতাভ রেজা। এরপর যদি এমন কিছু পাই তাহলেই হয়তো আবার সিনেমা করবো। নইলে না। উপস্থাপনা আমার একদম ভালোবাসার জায়গা। এটা ছাড়ছি না।
নায়িকা হওয়ার কোন ইচ্ছা ছিলো কখনো?
না ছিলো না। আমার উপস্থাপনা জীবনের নয় বছর হয়ে গেছে। গত বছর আমার একটা ফিল হয়েছে যে একটা ফিল্ম আমি করতে পারি। কিন্তু করতেই হবে এমন মনে হয়নি। সে কারনেই আমি লাকি যে ‘আয়নাবাজি’ আমার কাছে এসেছে। আয়নাবাজীর গল্প শুনেই ভেতর থেকে একটা ইয়েস এসেছে। মনে হয়েছে আমাকে এটা করতেই হবে।
না ছিলো না। আমার উপস্থাপনা জীবনের নয় বছর হয়ে গেছে। গত বছর আমার একটা ফিল হয়েছে যে একটা ফিল্ম আমি করতে পারি। কিন্তু করতেই হবে এমন মনে হয়নি। সে কারনেই আমি লাকি যে ‘আয়নাবাজি’ আমার কাছে এসেছে। আয়নাবাজীর গল্প শুনেই ভেতর থেকে একটা ইয়েস এসেছে। মনে হয়েছে আমাকে এটা করতেই হবে।
জন্মদিনেই নায়িকা হিসেবে জন্ম নাবিলার
Reviewed by sohel
on
12:11
Rating:
