পুলিশের দায়িত্ববোধ
মানুষের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি যে
আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, প্রকৃতপক্ষে তা গোটা দেশবাসীরই কথার
প্রতিধ্বনি। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়া, তাদের মধ্যে স্বস্তি ও
আস্থার পরিবেশ বজায় রাখা যে পুলিশের দায়িত্ব, পুলিশ বাহিনীকে তা মনে করিয়ে
দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘মানুষ যদি কোনোরকম কষ্ট পায়, তাদের ওপর
কোনোরকম দুর্যোগ নেমে আসে, সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের সেবা পাবে, এটাই মানুষ আশা
করে। কাজেই মানুষের সেই আকাক্সক্ষা আপনারা পূরণ করবেন- সেটাই আমরা সব সময়
চাই।’
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মর্মকথাটি অনুধাবন করতে হবে পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে। পুলিশকে বলা হয়ে থাকে জনগণের বন্ধু; কিন্তু এ দেশে এটি কেবল কথার কথাই হয়ে আছে। বস্তুত পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা প্রায় শূন্যের কোঠায়। পুলিশকে মানুষ বন্ধু নয়, বরং এর উল্টোটিই মনে করে থাকে। পুলিশকে তার আচরণের মধ্য দিয়ে জনমানসে বিদ্যমান এ ধারণায় পরিবর্তন আনতে হবে। দেশবাসী পুলিশের নির্দয় আচরণের সঙ্গে সম্যক পরিচিত। কারণে-অকারণে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। নারীর ওপর হামলা চালাতেও তাদের বিবেকে বাধে না। উদাহরণস্বরূপ, পহেলা বৈশাখে টিএসসির সামনে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে গত মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ডিএমপি কার্যালয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ নারী-পুরুষ কর্মীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালায়। সেদিন একজন নারী কর্মীকে ধাওয়া করে তার চুলের মুঠো ধরে লাথি মারতে উদ্যত হয়ে, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে যে আচরণ করেছিল পুলিশ, তাকে নারকীয় তাণ্ডব বললে ভুল হবে না। পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। পুলিশের দায়িত্বশীলতা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। টিএসসির কাছে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড এবং পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইদানীং পুলিশের অনেক সদস্য নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ছে। এসব কারণে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
পুলিশের আচরণে পরিবর্তন আনতে হলে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, জবাবদিহিতা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। স্বচ্ছতা আনতে হবে প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মকাণ্ডে। বন্ধ করতে হবে রাজনীতিকরণ। সে দায়িত্ব সরকারের। পুলিশ সদস্যদের যে কথায় কথায় মারমুখী হওয়া চলে না, প্রশিক্ষণের সময়ই এটা তাদের হৃদয়ঙ্গম করাতে হবে। তারপরও শৃংখলা ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে তাদের আনতে হবে কঠোর শাস্তির আওতায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে, আমরা তা অস্বীকার করছি না। বস্তুত সব পুলিশ সদস্যই সমালোচনার যোগ্য নয়। কতিপয় সদস্যের কারণেই গোটা পুলিশ বাহিনী আস্থা সংকটে ভুগে থাকে। সেক্ষেত্রে ওইসব সদস্যকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় যা প্রয়োজন তা হল, জনগণের প্রতি সেবামূলক মনোবৃত্তি নিয়ে দায়িত্ব পালন করা। পুলিশের জনবলসহ যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা দূর করাও কম জরুরি নয়। জনবহুল এ দেশে অপরাধের ধরন, মাত্রা ও পরিমাণ অনুযায়ী পুলিশকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আমরা চাই পুলিশ সত্যিকার অর্থেই জনগণের বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হোক। সরকার ও পুলিশকেও তা চাইতে হবে সর্বান্তকরণে।
প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের মর্মকথাটি অনুধাবন করতে হবে পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে। পুলিশকে বলা হয়ে থাকে জনগণের বন্ধু; কিন্তু এ দেশে এটি কেবল কথার কথাই হয়ে আছে। বস্তুত পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা প্রায় শূন্যের কোঠায়। পুলিশকে মানুষ বন্ধু নয়, বরং এর উল্টোটিই মনে করে থাকে। পুলিশকে তার আচরণের মধ্য দিয়ে জনমানসে বিদ্যমান এ ধারণায় পরিবর্তন আনতে হবে। দেশবাসী পুলিশের নির্দয় আচরণের সঙ্গে সম্যক পরিচিত। কারণে-অকারণে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। নারীর ওপর হামলা চালাতেও তাদের বিবেকে বাধে না। উদাহরণস্বরূপ, পহেলা বৈশাখে টিএসসির সামনে নারী লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে গত মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কার্যালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছিল ছাত্র ইউনিয়ন। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ডিএমপি কার্যালয়ে যাওয়ার আগেই পুলিশ নারী-পুরুষ কর্মীদের ওপর নির্বিচার হামলা চালায়। সেদিন একজন নারী কর্মীকে ধাওয়া করে তার চুলের মুঠো ধরে লাথি মারতে উদ্যত হয়ে, বন্দুকের নল ঠেকিয়ে যে আচরণ করেছিল পুলিশ, তাকে নারকীয় তাণ্ডব বললে ভুল হবে না। পুলিশের হাতে নিগৃহীত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকও। পুলিশের দায়িত্বশীলতা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্ন। টিএসসির কাছে ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড এবং পহেলা বৈশাখে নারী লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ইদানীং পুলিশের অনেক সদস্য নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডেও জড়িয়ে পড়ছে। এসব কারণে এ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
পুলিশের আচরণে পরিবর্তন আনতে হলে এ প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, জবাবদিহিতা, প্রশিক্ষণ ইত্যাদিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। স্বচ্ছতা আনতে হবে প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মকাণ্ডে। বন্ধ করতে হবে রাজনীতিকরণ। সে দায়িত্ব সরকারের। পুলিশ সদস্যদের যে কথায় কথায় মারমুখী হওয়া চলে না, প্রশিক্ষণের সময়ই এটা তাদের হৃদয়ঙ্গম করাতে হবে। তারপরও শৃংখলা ভঙ্গের ঘটনা ঘটলে তাদের আনতে হবে কঠোর শাস্তির আওতায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে পুলিশ প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে, আমরা তা অস্বীকার করছি না। বস্তুত সব পুলিশ সদস্যই সমালোচনার যোগ্য নয়। কতিপয় সদস্যের কারণেই গোটা পুলিশ বাহিনী আস্থা সংকটে ভুগে থাকে। সেক্ষেত্রে ওইসব সদস্যকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। সবচেয়ে বড় যা প্রয়োজন তা হল, জনগণের প্রতি সেবামূলক মনোবৃত্তি নিয়ে দায়িত্ব পালন করা। পুলিশের জনবলসহ যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তা দূর করাও কম জরুরি নয়। জনবহুল এ দেশে অপরাধের ধরন, মাত্রা ও পরিমাণ অনুযায়ী পুলিশকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আমরা চাই পুলিশ সত্যিকার অর্থেই জনগণের বন্ধু হিসেবে বিবেচিত হোক। সরকার ও পুলিশকেও তা চাইতে হবে সর্বান্তকরণে।
পুলিশের দায়িত্ববোধ
Reviewed by sohel
on
10:20
Rating:
